সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়,অতপর প্রেম,প্রেমের সম্পর্ক গিয়ে দাড়ায় বিয়েতে।এমনকি সম্প্রতি অন্য দেশ থেকেও প্রেমের টানে বাংলাদেশে চলে এসেছে অনেক যুবক-যুবতী।আমাদের চারপাশে এমনই ঘটনা ঘটছে অহরহ।

তবে এটা সম্পূর্ণ আলাদা প্রেমের করুন পরিনতি।

“বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিট্রেড আমলী-মণিরামপুর আদালত,যশোর” এর দায়েরকৃত মামলার ঘটনার বিবরনীতে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে গড়ানো প্রেমের সম্পর্ক ২০/০৪/২০২০ইং সালে ভার্সুয়ালে ১লক্ষ ১টাকা দেনমোহর মৌখিক ভাবে ধার্য্য মোতাবেক বিয়ে হয় যশোর জেলার, শার্শা উপজেলার,লাউতাড়া গ্রামের জৈনক মোঃ আয়ুব হোসেনের সৌদী আরব প্রবাসী মেয়ে মোছাঃ জেসমিন আক্তার(৩০) ও একই জেলার মণিরামপুর উপজেলার, ঝাপা ইউনিয়নের, বাগডাংগা গ্রামের মৃত আফসার মোড়লের ছেলে মোঃ শরিফুল ইসলাম(৩৪) দুই প্রবাস প্রেমিক যুগলের।

ভার্চ্যুয়াল বিবাহের ১ সপ্তাহ পরে সৌদি আরব থেকে দেশে এসে স্বামীর বাড়িতে যান জেসমিন।
স্বামী শরিফুল ইসলাম প্রতারনার উদ্দেশ্য পারিবারিক সমস্যা ও তার মায়ের অসুস্থ্যতা দেখিয়ে নগদ ১০(দশ) লক্ষ টাকা দাবী করে বসে।বৈবাহিক সম্পর্ক চিন্তা করে নিজের স্বামীকে বিশ্বাস করে তার কথা মোতাবেক প্রবাসে কষ্টে অর্জিত টাকা থেকে নগদ ১০(দশ) লক্ষ টাকা আসামী দ্বয়ের কাছে দেন।
এমন অবস্থায় কিছুদিন গেলে ভুক্তভোগী জেসমিন কর্মের সুবাদে আবারো সৌদী আরবে পাড়ি জমান।দূরত্ব সৃষ্টি হওয়াতে যৌন চাহিদা ও স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কের সূত্র ধরে বিভিন্ন সময় শরিফুল ও জেসমিন ভিডিও কলে সময় কাটাতো।এবং শরিফুলের বাধ্য করাতে অর্ধনগ্ন হতে হয়েছে জেসমিনকে।
ভিডিও কল চলাকালিন ব্লাকমেইলের উদ্দেশ্য শরিফুল স্ক্রীন শর্ট(অটো) করে সেই ছবি জেসমিনকে দেখিয়ে সেটা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে বলে ভয় দেখিয়ে আবারো ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেই।
প্রবাসে জেসমিন হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়লে ০২/০৫/২৩ইং তারিখে দেশে চলে আসেন। এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যান।
বাড়িতে এসে জেসমিন প্রবাসী স্বামী মোঃশরিফুলের বাড়িতে যান, যেয়ে দেখেন তার স্বামী মেবাইলের মাধ্যমে কুমিল্লা থেকে আবারও একটা বিয়ে করে তার বাড়িতে পাঠায়ছে ও তার বাড়িতেই আছে।
এমন অবস্থায় ভুক্তভোগী জেসমিন তার অভিভাবক হিসাবে শার্শার লাউতাড়া গ্রামের মোঃআশরাফুল ইসলাম,পিতা-শাহদাত মোড়ল,আনারুল ইসলাম,পিতা-আয়ুব হোসেন,পলক হোসেন,পিতা-আব্দুল মজিদ,লিটন হোসেন, পিতা-ঝন্টু ও আব্দুল মান্নান পিতা-মোবারককে নিয়ে শরিফুলের বাড়িয়ে যেয়ে সব ঘটনা শুনে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সমজতায় আসতে চাই।কিন্তু মামলায় অভিযুক্ত আসামী দ্বয় আবারো জেসমিনকে বলে যদি তুমি আরো ০৫(পাঁচ )লক্ষ টাকা দিতে পারো তাহলে ঐ মেয়েকে প্রবাসী স্বামী শরিফুলের মাধ্যমে তালাক প্রদান করে তোমাকে এ বাড়িতে বউ হিসাবে রাখবে।
এ প্রস্তাব মানতে রাজি না হয়ে তাদের প্রদানকৃত ১০(দশ) লক্ষ টাকা দাবী করিলে মামলার কপিতে নাম উল্লেখিত শরিফুলের মামা মোঃ আলী হোসেন(৫৫),পিতা-হযরত আলী,মা মোছাঃশেফালী বেগম(৫০),স্বামীঃমৃত আফসার মোড়,ও সালেহা খাতুন(৩২),স্বামীঃ আলমগীর হোসেন,সাজেদা খাতুন(৪৫),পিতা-জিয়ারুল ইসলাম ও ওবায়দুর রহমান(২২) পিতা-আলী হোসেন একত্রে আসামীরা চড়াও হয়ে জেসমিনকে শারীরিক ভাবে জখম করে ও এক ভরি ওজনের একটি স্বর্নের চেইন, একটা (ছয়)আনা ওজনের আংটি কেড়ে নেই,ও এ বিষয়ে মুখ খুললে খুন জখমের হুমকী দেয় স্বামী শরিফুলের মামা মোঃ আলী হোসেন।
যার স্বাক্ষী মামলার কপিতে উল্লেখিত বাদীর অভিভাবকরা।
মারাধরা জখম করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় আসামীরা এমন অবস্থায় আঘাত গুরুতর হলে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা নেন ঐ নারী।

ভুক্তভোগী জেসমিন আক্তার স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে বিঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেড আমলী-মনিরামপুর আদালত,যশোর এ মোকাদ্দমা নং ৪০৬/৪২০/৩২৩/২৭৯ দঃবিঃ মামলায় অভিযোগ করেন, সুস্থ্য হয়ে স্থানীয় মনিরামপুর থানায় অভিযোগ করতে গেলে মনিরামপুর থানায় মামলা নেয়না।
আসামিরা অর্থশালী ও ক্ষমতাধর লোক হওয়ায় স্থানীয় সালিসে ডেকেও সমাধান না পাওয়াতে মামলা করতে বিলম্বিত হয়ে ঐ নারী গতকাল ২৭-০৩-২৩ইং তারিখে মামলাটি দায়ের করেন।